খেয়াল করলাম বেশ কিছুদিন ধরেই শরীরটা ঠিক দিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই কাশি, কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। ভাবলাম হয়তো ঠান্ডা লেগেছে, তেমন পাত্তা দিলাম না। কিন্তু সমস্যাটা যখন বাড়তেই থাকল, তখন একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। சரி করলাম, এবার একটু অন্য কিছু করে দেখা যাক।

ছোটবেলায় দাদিকে দেখতাম, নানান রকম গাছ-গাছড়া, মশলাপাতি দিয়ে এটা-সেটা বানিয়ে দিতেন। সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতা, কিংবা পেটের সমস্যায় জোয়ান—এই সব ঘরোয়া টোটকাতেই দিব্যি কাজ চলে যেত। মনে পড়ল, দাদি একবার শুকনো ফলের মধ্যে কী যেন একটা খেতে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন কাশি কমাতে খুব উপকারী। অনেক ভেবে-চিন্তে মনে পড়ল, সেটা ছিল শুকনো杏ি!

তখন ভাবলাম, এই杏ি নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখি না কেন! যেই ভাবা, সেই কাজ। ইন্টারনেটে খুঁজতে শুরু করলাম। ওমা! এ তো দেখছি রীতিমতো গুপ্তধনের খোঁজ পেলাম! জানলাম, শুধু কাশি কমাতেই নয়, এই 杏ি আরও কত কী যে করতে পারে!

1杏ি-র গুণাগুণ

• কাশি-দমবন্ধভাব দূর করেঃ দেখলাম, এতে নাকি 'অ্যামিগডালিন' নামে একটা জিনিস থাকে, যেটা আমাদের শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়াটাকে সহজ করে। কাশি হলে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে এটা দারুন আরাম দেয়।
• পেট পরিষ্কার রাখেঃ এটাতে প্রচুর ফাইবার আছে, তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটা খুবই উপকারী।
• ত্বক ও চুলের জন্য ভালোঃ এতে ভিটামিন ই আর সি আছে ভরপুর, যা আমাদের ত্বক আর চুলের জন্য খুবই দরকারি।
• হার্টের বন্ধুঃ এটায় যে ফ্যাট-টা থাকে, সেটা নাকি হার্টের জন্য খুব ভালো। কোলেস্টেরল কমায়, হার্টের অসুখ দূরে রাখে।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ এতে এমন সব দরকারি জিনিস আছে, যা আমাদের শরীরের ভেতরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে।

এতসব জানার পর আর দেরি করলাম না। বাজার থেকে ভালো মানের শুকনো杏ি কিনে আনলাম। রোজ সকালে খালি পেটে কয়েকটা করে খেতে শুরু করলাম। প্রথম দিকে তেমন কিছু বুঝতে পারছিলাম না, তবে হাল ছাড়লাম না।

সপ্তাহ দুয়েক পর খেয়াল করলাম, আমার কাশিটা আগের চেয়ে অনেক কম। শ্বাস নিতেও আর তেমন কষ্ট হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, শরীরটাও বেশ ঝরঝরে লাগছে। বুঝলাম, দাদির টোটকা একেবারে ফেলনা নয়!

এখন থেকে ঠিক করেছি, রোজকার খাবারে শুকনো杏ি রাখবই। শুধু অসুখ হলেই নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও এটা নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। আপনারাও চাইলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে হ্যাঁ, কোনও কিছু শুরু করার আগে, বিশেষ করে যদি অন্য কোনও অসুখ থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা কিন্তু জরুরি।